ই-নলেজ অতিক্রম করলো লক্ষাধিক সদস্যের এক বিশাল মাইলফলক!বিস্তারিত...
person
!
প্রোফাইল আপডেট

ইসলামে গান বাজনা করা কি জায়েজ আছে?

-:বিজ্ঞাপনের স্থান:-
ই-নলেজ এ বিজ্ঞাপন দিতে চান? - যোগাযোগ করুন।
"ইসলাম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন (নবীন) (89 পয়েন্ট)  
বিভাগ পূনঃনির্ধারিত করেছেন

গান বাজনা করা কি হারাম?

কুরআন ও হাদীসের কোথাও কি বলা আছে?
রেফারেন্স  সহ জানতে চাই?
প্রশ্নের সংকেত- ইসলামে গান বাজনা করা কি জায়েজ আছে?

বন্ধ

ইবনুল কায়্যিম (রহিঃ) গান-বাজনার ক্ষতিকর দিক ব্যাখা করতে গিয়ে বলেন,”গান-বাজনাকে জিনা-ব্যভিচারের প্ররোচনাদানকারি বলা মোটেই ভুল হবেনা, কারন  গান-বাজনার চেয়ে যিনার দিকে প্ররোচনাদানকারী কার্যকর আর কোন মা্ধ্যম নেই।” [ইঘাছাত আল-লাহফান;১/২৪৫]

মন্তব্য করা হয়েছে করেছেন (বিশারদ) (4,159 পয়েন্ট)  
পূনঃপ্রদর্শিত করেছেন

2 উত্তর

2 পছন্দ 0 অপছন্দ
 
সর্বোত্তম উত্তর

গান বাজনা ইসলামে হারাম করা হয়নি। মানুষের জন্য হারাম সকল বিষয়ই পবিত্র কোরআনে আলোচনা করা হয়েছে। যদি কোনো কিছুকে হারাম বুজতে হয় তাহলে কোরআনের রেফারেন্স লাগবে। কিন্তু কোরআনের এমন একটি আয়াতও নেই যেখানে বলা হয়েছে গান হারাম। দাউদ (আ) এর নিকট আল্লাহ আসমানী কিতাব যাবুর নাজিল করেছেন। যাবুর মানে হল সুর বা সঙ্গীত। আল্লাহ এক নবীর কাছে সঙ্গীতের কিতাব পাঠাবেন আরেক নবীকে দিয়ে তা কেন নিষিদ্ধ করবেন? উল্লেখ্য যে পবিত্র কোরআনকে সুরের ছন্দে পড়া হয়। এমনকি সুর মিলিয়ে কোরআন পড়া বাধ্যতামূলক। সুর ছাড়া পড়লে গুনাহ হয়।

রুবায়ই বিন্‌তু মু‘আওয়িয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন, আমার বাসর রাতের পরদিন সকালে নবী (সা) আমার নিকট এলেন এবং তুমি (খালিদ ইব্‌নু যাকওয়ান) যেমন আমার কাছে বসে আছ ঠিক সেভাবে আমার পাশে আমার বিছানায় এসে বসলেন। তখন কয়েকজন ছোট বালিকা দুফ্‌ (বাদ্য যন্ত্র ) বাজিয়ে বাদ্‌রে নিহত শহীদ পিতাদের প্রশংসা গীতি আবৃত্তি করছিল। শেষে একটি বালিকা বলে উঠল, আমাদের মাঝে এমন একজন নবী আছেন, যিনি জানেন, আগামীকল্য কী হবে। তখন নবী (স) বললেন এমন কথা বলবে না বরং আগে যা বলছিলে তাই বল।

ফুটনোটঃ [১১] একমুখ খোলা অপর প্রান্তে চামড়া লাগানো তবলাকে দুফ্‌ বলা হয়, বিবাহ ও ‘ঈদের দিন আনন্দ প্রকাশের জন্য তা বাজিয়ে নাবালিকা মেয়েদের আপত্তিকর কথা বিবর্জিত গীত গাওয়া নিঃসন্দেহে বৈধ।
সহীহ বুখারী : ৪০০১

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আবু বক্‌র (রাঃ) তাঁর নিকট এলেন। এসময় মিনার দিবসগুলোর এক দিবসে তাঁর নিকট দুটি মেয়ে দফ বাজাচ্ছিলো, নবী (সা) তাঁর চাদর আবৃত অবস্থায় ছিলেন। হে আবু বক্‌র! ওদের বাধা দিওনা। কেননা, এসব ‘ঈদের দিন। আর সে দিনগুলো ছিলো মিনার দিন। 
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৯৮৭
হাদিসের মান: সহিহ

তবে একটি হাদিস আছে যেখানে বলা হয়েছে, আমার উম্মতের মধ্যে এমন একদল লোক থাকবে যারা জিনা, সিল্ক, মদ ও বাদ্যকে হালাল করবে। (সহীহ বুখারী : ৫৫৯০)

তবে কোনো কিছুকে হারাম করতে কোরআনের রেফারেন্স থাকতে হবে। বুখারী ৫৫৯০ হাদিসে রেসমি কাপড়ের এখানে মদ ও জেনার সাথে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ যেসকল গান মানুষের ইমান নষ্ট করে, পাপ কাজে উৎসাহ দেয়। অশ্লীলতা তৈরি করে সেগুলো সম্পূর্ণ হারাম।
অতএব বলা যায় গান যদি হয় অশ্লীল, ইসলাম বিমুখ তাহলে সেটা নিষিদ্ধ। বাকি সকল গান জায়েজ আছে।
উত্তর প্রদান করেছেন (বিশারদ) (2,977 পয়েন্ট)  
নির্বাচিত করেছেন
তাহলে নাটক সিনেমা মধ্যে যে গান থেকে সেই গুলো কি জায়েজ।
মন্তব্য করা হয়েছে করেছেন (নবীন) (89 পয়েন্ট)  
যদি নাটক সিনেমার গানগুলো খারাপ হয় অথবা অশ্লীল তাহলে সেটা নিষিদ্ধ বা নাজায়েজ। ভালো গান যেগুলো ব্যক্তিকে অধার্মিক করে না। অশ্লীলতা নেই। সেগুলো জায়েজ আছে।

তবে বর্তমানে টিভিতে, সিনেমাতে অথবা হিন্দি যে গানগুলো দেখানো হয় সেগুলো অধিকাংশে অশ্লীলতা দেখা যায়। সেগুলো নিষিদ্ধ।

পিয়ানো, দেশত্ববোধক গান, ইসলামিক গান বা গজল ইত্যাদি এগুলো শোনা যাবে।
মন্তব্য করা হয়েছে করেছেন (বিশারদ) (2,977 পয়েন্ট)  
সম্পাদিত করেছেন

কুরআন ও হাদিস একে অপরের পরিপূরক। সূরা হাশরের ৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে "রাসুল তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর। আর যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক।"
আবার মহানবি (স.) নিজেই বলেছেন যে, "আমি তোমাদের মধ্যে দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা এ দুটোকে আঁকড়ে থাকবে ততদিন পর্যন্ত তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হলো আল্লাহর কিতাব এবং অপরটি রাসুলের সুন্নাহ"। আবার কুরআনে বলা হয়েছে "আর তিনি (মহানবি স.) নিজ প্রবৃত্তি থেকে কোনো কথা বলেন না । তা তো ওহি, যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।"(সূরা আন-নাজম,আয়াত ৩-৪)।
এখন আমার কথা হলো যে , হাদিস যদি কুরআনের ব্যাখ্যা স্বরূপ হয় তাহলে কেন কোনো কিছুকে হারাম বুঝতে হাদিসের রেফারেন্স কেন যথেষ্ঠ নয়? কুরআনের ব্যাখ্যা বাধ্যতামুলক কেন? হাদিসের কথাও তো পরোক্ষভাবে আল্লাহরই কথা।

মন্তব্য করা হয়েছে করেছেন (বিশারদ) (4,111 পয়েন্ট)  

ঠিক। তবে হারাম বিষয়ের সংখ্যা সীমীত। হারাম ছাড়া বাকি সবকিছুই হালাল। হারাম সবকিছুই কোরআনে সুন্দর ভাবে বলা হয়েছে। হাদিস পরোক্ষ ভাবে আল্লাহর বানী। কিছু কিছু হাদিস গান বাজনাকে অনুমতি দেয়।
যেমন বুখারী : ৯৮৭, ৪০০১, তীরমীজী ৩৬৯০


আর এখানেতো আমি ইসলামিক গান বা গজল।দেশত্ববোধক গানকেই জায়েজ বলেছি। বাকি সব গানই হারাম হয়ে যায়। আলেমরাও একই মত পোষণ করেন যে সব গান হারাম নয় বরং অধিকাংশ গান হারাম।
মন্তব্য করা হয়েছে করেছেন (বিশারদ) (2,977 পয়েন্ট)  
সম্পাদিত করেছেন
@আব্দুল্লাহ আল মাসুদ
.
"আমি তোমাদের মাঝে দু'টি অতি মূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি; যার একটি হল আল্লাহর কিতাব; যাতে রয়েছে নূর এবং হেদায়েত। আল্লাহর কিতাবকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধর। আর অপরটি হলো আমার আহলে বাইয়াত। আমার আহলে বাইয়াতের বিষয়ে তোমাদেরকে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি (অর্থাৎ মহান আল্লাহকে ভয় করে তাদেরকে অনুসরণ কর) এই বাক্যটিকে তিনি তিনবার উচ্চারণ করেন। সূত্র: সহীহ মুসলিম, ৪র্থ খণ্ড, পৃ.১৮০৩।
মন্তব্য করা হয়েছে করেছেন (অতিথি) (5 পয়েন্ট)  
1 টি পছন্দ 0 অপছন্দ

আল্লাহ তায়ালা বলেন: “আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা কথা খরিদ করে, আর তারা ঐগুলোকে হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে।” [সূরা লুকমান ৩১: ৬ আয়াত]। বেশীর ভাগ তাফসীরকারকগণ এই আয়াতে ব্যবহৃত আরবী শব্দ ‍লাহওয়াল হাদীস বলতে গানকে বুঝিয়েছেন। সাহাবাদের ভেতর উলামা, ফুকাহা এবং মুফাসসীরিন হিসেবে পরিচিত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস এবং আব্দুল্লাহ ইবনে উমার(রা)-এই তিনজনেই এই আয়াতকে বাদ্য-বাজনা হারাম হওয়ার দলীল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ইমাম হাসান বছরী র. বলেন: উহা গান ও বাদ্য শানে নাজিল হয়েছে।[তাফসীর ইবনে কাসীর ৩/৪৫১] আল্লাহ তায়ালা শয়তানকে সম্বোধন করে বলেন: “তোমার কন্ঠ দিয়ে তাদের মধ্যে যাকে পারো প্ররোচিত কর।” [সূরা ইসরা ১৭: ৬৪ আয়াত]

ইসলামে বাদ্য-বাজনা হারাম এবং যারা একে হালাল মনে করে তারা আল্লাহর চরম অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ঃ

রাসূল (সাঃ বলেছেন, “আমার উম্মাতের মাঝে এমন কিছু লোক আসবে যারা ব্যভিচার, পশম, মদ ও বাদ্য-যন্ত্রকে হালাল করে নিবে।” [সহীহ বুখারীঃ ৫৫৯০] এই সহীহ হাদীস পরিষ্কার বলে দিচ্ছে যে, বাদ্য-যন্ত্র হারাম। যারা হারামে লিপ্ত হবে তারা গুনাহগার হবে আর যারা হারামকে হালাল করে নিবে তারা কুফরিতে লিপ্ত হবে। আল্লাহ বলেন, “মুমিন নারী ও পুরুষকে এটি শোভা পায়না যে যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয় নির্ধারন করে দিবেন তখন তারা এর বিরোধিতা করবে। যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করবে সে অবশ্যই বড়ই ভুলের মধ্যে নিপতিত হবে।” [সূরা আল-আহযাবঃ ৩৬]

আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন।

উত্তর প্রদান করেছেন (বিশারদ) (4,159 পয়েন্ট)  
পূনঃপ্রদর্শিত করেছেন

সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
"ফাতাওয়া-আরকানুল-ইসলাম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন TUFAZZAL ISLAM (নবীন) (89 পয়েন্ট)  
2 টি উত্তর
"ইসলাম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Tanzith (বিশারদ) (2,977 পয়েন্ট)  
1 উত্তর
"ইসলাম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মো অনিক (প্রতিভাবান) (5,556 পয়েন্ট)  

18,564 টি প্রশ্ন

19,454 টি উত্তর

2,560 টি মন্তব্য

102,783 জন সদস্য

ই-নলেজ কুয়েরি বাংলা ভাষায় সমস্যা সমাধানের একটি নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট। এখানে আপনি প্রশ্ন-উত্তর করার মাধ্যমে নিজের সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি দিতে পারেন অন্যদের সমস্যার নির্ভরযোগ্য সমাধান! বিভিন্ন ব্যক্তিগত সমস্যা, পড়ালেখা, ধর্মীয় ব্যাখ্যা, বিজ্ঞান বিষয়ক, সাধারণ জ্ঞান, ইন্টারনেট, দৈনন্দিন নানান সমস্যা সহ সকল বিষয়ে প্রশ্ন-উত্তর করতে পারবেন! প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে বাংলা ভাষায় উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য!
তাই আজই যুক্ত হোন ই-নলেজে আর বাড়িয়ে দিন আপনার জ্ঞানের গভীরতা...!



  1. MdAUKhan

    56 টি পরীক্ষণ কার্যক্রম



  2. Enolej Official Team

    7 টি পরীক্ষণ কার্যক্রম



  3. ইফতেখার নাইম

    4 টি পরীক্ষণ কার্যক্রম



  1. MdAUKhan

    54 পয়েন্ট

    9 টি উত্তর

    7 মন্তব্য

    2 টি প্রশ্ন

  2. Ai Sami

    52 পয়েন্ট

    12 টি উত্তর

    5 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

  3. Miraj Mustafa

    21 পয়েন্ট

    6 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    1 প্রশ্ন

  4. Enolej Official Team

    16 পয়েন্ট

    2 টি উত্তর

    1 মন্তব্য

    2 টি প্রশ্ন

  5. AssainNetBd

    15 পয়েন্ট

    3 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

...