ইবনুল কায়্যিম (রহিঃ) গান-বাজনার ক্ষতিকর দিক ব্যাখা করতে গিয়ে বলেন,”গান-বাজনাকে জিনা-ব্যভিচারের প্ররোচনাদানকারি বলা মোটেই ভুল হবেনা, কারন গান-বাজনার চেয়ে যিনার দিকে প্ররোচনাদানকারী কার্যকর আর কোন মা্ধ্যম নেই।” [ইঘাছাত আল-লাহফান;১/২৪৫]
কুরআন ও হাদিস একে অপরের পরিপূরক। সূরা হাশরের ৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে "রাসুল তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর। আর যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক।"
আবার মহানবি (স.) নিজেই বলেছেন যে, "আমি তোমাদের মধ্যে দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা এ দুটোকে আঁকড়ে থাকবে ততদিন পর্যন্ত তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হলো আল্লাহর কিতাব এবং অপরটি রাসুলের সুন্নাহ"। আবার কুরআনে বলা হয়েছে "আর তিনি (মহানবি স.) নিজ প্রবৃত্তি থেকে কোনো কথা বলেন না । তা তো ওহি, যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।"(সূরা আন-নাজম,আয়াত ৩-৪)।
এখন আমার কথা হলো যে , হাদিস যদি কুরআনের ব্যাখ্যা স্বরূপ হয় তাহলে কেন কোনো কিছুকে হারাম বুঝতে হাদিসের রেফারেন্স কেন যথেষ্ঠ নয়? কুরআনের ব্যাখ্যা বাধ্যতামুলক কেন? হাদিসের কথাও তো পরোক্ষভাবে আল্লাহরই কথা।
ঠিক। তবে হারাম বিষয়ের সংখ্যা সীমীত। হারাম ছাড়া বাকি সবকিছুই হালাল। হারাম সবকিছুই কোরআনে সুন্দর ভাবে বলা হয়েছে। হাদিস পরোক্ষ ভাবে আল্লাহর বানী। কিছু কিছু হাদিস গান বাজনাকে অনুমতি দেয়।
যেমন বুখারী : ৯৮৭, ৪০০১, তীরমীজী ৩৬৯০