আসলে পেশাদার ভিক্ষুক বলতে যারা অর্থ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও পেশা হিসেবে ভিক্ষা করে। অর্থাৎ জরুরতের কারণে ভিক্ষা করে না। এমন ব্যক্তির জন্য ভিক্ষা চাওয়া ও তাকে জেনে শুনে ভিক্ষা দেওয়া কোনটিই জায়েয নেই। কাজেই যদি কারো ব্যাপারে জানা যায় যে, সে পেশাদার ভিক্ষুক তবে তাকে ভিক্ষা দেওয়া যাবে না।
অর্থাৎ যদি জানা যায় যে, যাঞাকারী একটি পেশাদার ভিক্ষুক, এবং ভিক্ষা করা তার জন্য বৈধ নয়, তাহলে তাকে ভিক্ষা দেবেন না।
কিন্তু রাস্তাঘাটে চলার সময় এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বুঝা মুশকিল। আবার হাদীস শরীফে মুমিনের প্রতি ভালো ধারণা পোষণ করতে বলা হয়েছে। তাই কারো অবস্থা জানা না গেলে তার বাহ্যিক অবস্থার দরুন তার প্রতি ভালো ধারণা পোষণ করতে তাকে কিছু দিতে কোন অসুবিধা নেই। কেননা এটাই স্বাভাবিক যে, সে একান্ত অপারগতার দরুন হাত পেতেছে।
ভিক্ষা চাওয়া তিন শ্রেনীর ব্যক্তি ব্যতীত অন্যদের জন্য হালাল নয়ঃ
-
-
ধূলা-মলিন নিঃস্ব ভিক্ষুকের জন্য।
-
প্রচন্ড ঋণের চাপে জর্জরিত ব্যক্তির জন্য এবং
-
যার উপর দিয়াত (রক্তপণ) আছে, অথচ তা পরিশোধের অক্ষমতার কারণে নিজের জীবন বিপন্ন এ ধরনের ব্যক্তিরা যাঞা করতে পারে। (সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ৩/ যাকাত, হাদিস নম্বরঃ ১৬৪১ হাদিসের মানঃ যঈফ)।
তবে সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, অর্থাৎ “মু’মিনদের জন্য তুমি তোমার বাহুকে অবনমিত রাখ।” (সূরা হিজর ৮৮ আয়াত)
আল্লাহ তাআলা বলেন, অর্থাৎ “তুমি নিজেকে তাদেরই সংসর্গে রাখ যারা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের রবকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আহ্বান করে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করে তাদের দিক হতে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না।” (সূরা কাহফ ২৮ আয়াত)
তিনি আরো বলেন, অর্থাৎ “অতএব তুমি পিতৃহীনের প্রতি কঠোর হয়ো না এবং ভিক্ষুককে ধমক দিয়ো না।” (সূরা যুহা ৯-১০ আয়াত)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, অর্থাৎ “তুমি কি দেখেছ তাকে, যে (দ্বীন বা) কর্মফলকে মিথ্যা মনে করে থাকে? সে তো ঐ ব্যক্তি, যে পিতৃহীনকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়। এবং সে অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহ প্রদান করে না।” (সূরা মাউন ১-৩ আয়াত)