যেমন, আরবিতে একজনকে নির্দেশ করতে বলা হয় ‘আলাইকা’ কিন্তু আমরা সালামের সময় 'আলাইকা' না বলে বলি ‘আলাইকুম’ যার বাংলা অর্থ ‘আপনাদের ওপর’( অর্থাৎ শুদ্ধ অনুবাদ করলে হবে, আপনাদের উপর) । পবিত্র কুরআন শরীফ এর বাংলায় তরজমার সময় কোরআনে আল্লাহ যেভাবে বলেছেন সেভাবেই করা কর্তব্য। যেখানে আল্লাহ নিজেকে ‘আমি’ বলেছেন, সেখানে আমি। যেখানে ‘আমরা’ বলেছেন, সেখানে ‘আমরা’ বলাই শুদ্ধ। এই ‘আমরা’ বহু বচনের জন্য নয়, আল্লাহর মহত্ব ও গৌরব প্রকাশের জন্য।
ইমামুন নাহব রযীউদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (মৃত্যু : ৬৮৬ হি.) তার ‘আল ওয়াফিয়া শারহুল কাফিয়া’ গ্রন্থে বলেন:
ويقول الواحد المعظم أيضا : نفعل وفعلنا، وهو مجاز عن الجمع لعدهم المعظم كالجماعة
অর্থাৎ সম্মানী ও মহান ব্যক্তি একজন হল বহুবচনের সর্বনাম ব্যবহার করে বলেন, نفعل বা فعلن ।এটি বহুবচনের রূপকার্থ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। কারণ, একজন মহান ব্যক্তি একাই অনেক জনের সমষ্টিতুল্য।
সেই ব্যক্তি যদি কোনো সম্রাট,বাদশাহ বা সম্রাজ্ঞী কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান হন তবে তো তাঁর সাথে থাকবে উপদেষ্টা ও পরামর্শদাতা এবং আজ্ঞাবহ বিভিন্ন বাহিনী। এই বিবেচনায় একজন মান্য ও মহৎ ব্যক্তির পক্ষে বহুবচনের সর্বনাম (আমরা) প্রয়োগ তাঁর গৌরব ও মাহাত্ম্যের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। এ ধরনের ব্যাখ্যাই হাফেজ সালাহুদ্দীন খলীল সাফাদী (মৃত্যু : ৭৬৪ হি.) পেশ করেছেন। দেখুন : নুছরাতুছ-ছায়ির আলাল মাছালিছ সায়ির (১/৭১, আল মাকতাবাতুশ শামিলা সংস্করণ)
কুরআন ও বাইবেলের অনুবাদের জন্য ব্যবহৃত সর্বনাম 'Royal We' বা 'রাজকীয় আমরা' ( Royal WE কি?) ঃ
একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা পরিস্কার হবে আশা করি,
ইংল্যান্ডের রানী যখন তার সাম্রাজ্যের জন্য কোন অধ্যাদেশ জারী করতে চান তখন কখনোই একথা বলেন না, " আমি এই আইন চালু করতে চাই.... " তার পরিবর্তে বলেন, "আমরা এই আইন চালু করতে চাই....." আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে.....।
এখানে 'আমি 'র পরিবর্তে 'আমরা' বলাটাই বেশি সন্মানের। এখানে এই 'আমরা' হল Royal We.
ধরুন নেপালে ভয়াবহ ভুমিকম্প হল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে সমবেদনা জানানোর জন্য সেখানে গেলেন আর &#