কপিরাইট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন। কপিরাইট দ্বারা লেখকর মেীলিক সৃষ্টিকর্মের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের একচ্ছত্র অধিকার প্রদান করা হয়।কপিরাইট মূলত “লেখকের তার মেীলিক রচনার জন্য স্বত্ব প্রদান এবং বিনা অনুমতিতে যে কোন ধরনের পৃন:মুদ্রণ, অনুবাদ বা অনুলিপি নিবৃত্ত ও নিয়ন্ত্রণ করা”। সহজ কথায় বলতে গেলে, ধরুন আপনি একটি বই লিখলেন তো এখন আপনি যদি উক্ত বই এর জন্য একটি কপিরাইট করে নেন তবে পরবর্তীতে আপনার অনুমতি বা হস্তক্ষেপ ছারা কেউ আপনার লিখা বই এর কপি বাজারে ছাড়তে পারবে না। উল্লেখ্য আমি শুধু বই এর কথা দিয়ে বুঝিয়েছি। এটি বই এর বদলে আরও কিছু হতে পারে।
কপিরাইট আইন দ্বারা লেখক ও অন্যান্য মেীলিক কর্মের সৃষ্টিকর্ম সুরক্ষিত হয়। কপিরাইট আইনের সাহায্যে গ্রন্থাগার বা প্রকাশককে মুদ্রিত বই ইত্যাদির নিজ খরচে আইনে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে এক বা একাধিক কপি সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট এক বা একাধিক গ্রন্থাগারে বিনামূল্যে প্রেরণ করতে হয়।
___________
বাংলাদেশ কপিরাইট আইন ২০০০”। এই আইনটি ১৮ জুলাই, ২০০০ সালে পাশ হয় এবং বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়। ইতোপূর্বে বাংলাদেশের “কপিরাইট আইন(১৯৭৪)” তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক জারিকৃত কপিরাইট আইন ১৯৬২ সনের সংশোধিত রূপে কার্যকর ছিল। তদানীন্তন পাকিস্তান সরকারের জারিকৃত ১৯৬২ সনের কপিরাইট আইনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এক সংশোধনীর মাধ্যমে “বাংলাদেশ কপিরাইট আইন-১৯৭৪ “ হিসেবে প্রচলন করা হয় এবং ১৯৭৪ হতে ২০০০ সালের ১৭ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
বাংলাদেশের কপিরাইট আইন নিয়ে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে নিচে দেওয়া লিংকে যেতে পারেন। এখানে বাংলাদেশ “কপিরাইট আইন ২০০০” নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সাইট লিংক-
“কপিরাইট আইন ২০০০”
সূত্রঃ ইন্টারনেট