ডেটা কমিনিউকেশন বা ট্রান্সমিশন অথবা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা পরিবহনের জন্য কোনো না কোনো মাধ্যম দরকার হয়। কোনো নেটওয়ার্কে কম্পিউটারসমূহ নেটওয়ার্ক মাধ্যম বা মিডিয়ার সাথে যুক্ত থাকে। এই নেটওয়ার্ক মিডিয়ার মধ্যে দিয়েই ডেটা প্রবাহিত হয়।
নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের মিডিয়া ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুৎ সংযােগের জন্য যেমনি আমরা তামার (কপার) ক্যাবল ব্যবহার করি, তেমনি তামার ব্যবহারের পাশাপাশি আরও দুটি পদার্থ নেটওয়ার্ক মিডিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কাঁচ (অথবা, স্বচ্ছ প্লাস্টিক) ও বাতাস। তামার ক্যাবলের চেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন হচ্ছে কাঁচের তৈরি ক্যাবল, যাকে ফাইবার অপটিক ক্যাবল বলা হয়। আবার প্রয়ােজনানুসারে তারবিহীন নেটওয়ার্ক বা ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে মূলত ব্যবহৃত হয় বাতাস। বাতাসের মধ্যে দিয়ে ডেটা সিগনাল পাঠানাের আবার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। ডেটা কমিউনিকেশন বা নেটওয়ার্ক মিডিয়াকে প্রধানত দুভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১. তারযুক্ত মিডিয়া
২. তারবিহীন মিডিয়া
তার বলতে আমরা এমন একটি বস্তুকে বুঝে থাকি যা দুইটি প্রান্তকে সংযুক্ত করে। এটি একটি কঠিন বস্তু যার মধ্যে দিয়ে ডেটা সিগনালগুলাে উৎস থেকে গন্তব্যে গমন করতে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে, এ ধরনের মাধ্যমে সিগনাল কেবলমাত্র তারের মধ্যেই থাকবে বা তারটি সিগনালকে গাইড করে গন্তব্যে নিয়ে যাবে, সেজন্য এই মাধ্যমকে গাইডেড মিডিয়া বলে অভিহিত করা যায়। এক্ষেত্রে ডেটা সিগনাল কেবলমাত্র তারের মধ্যেমেই গ্রহণ করা সম্ভব হবে অর্থাৎ গ্রহীতাকে অবশ্যই তারের সাথে সংযুক্ত হতে হবে। সাধারণত স্বল্প পরিসরের কমিউনিকেশন বা নেটওয়ার্কিং এর জন্য মাধ্যম বা মিডিয়া হিসেবে ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। তবে উচ্চগতির ডেটা ট্রান্সফার এবং বৃহত্তর পরিসরেও ক্যাবলের ব্যবহার রয়েছে। বিভিন্ন প্রকারের তার মাধ্যমে পাওয়া যায় । তাদের মধ্যে অন্যতম হলাে-
ক. টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল
খ. কো-এক্সিয়াল ক্যাবল
গ. ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইত্যাদি।