ইউনিক আইডি কি এবং কেন?
⛔বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত জাতীয়তা সনদের মতো প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি ডিজিটাল কার্ড ( প্লাস্টিকের এটি এম/ স্মার্ট কার্ডের মতো ) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়। শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন একটি সার্ভার/ওয়েভসাইট হতে প্রাপ্ত অটোমেটিক একটি নম্বর(একাধিক নম্বর সংবলিত) বা পরিচয় আইডি। যা শিক্ষার্থীদের সমগ্র শিক্ষা জীবনে জাতীয়ভাবে একটি পরিচয় বহন করবে। যাহা পরবর্তিতে ভোটার তালিকায় (যারা ভোটার হয়নি) এসকল তথ্য সংযোজিত হবে।
⛔ এটি আপাতত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের যষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত।
⛔ এই আই ডি কার্ড টিতে ডিজিটাল ভাবে শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।এই আই ডি কার্ড টির নাম ইউনিক আই ডি বা (UID) এই আইডিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা একটা রোল নম্বর থাকবে।
এই রোল নম্বরটি সারাজীবন প্রত্যেক ক্লাসে ব্যবহার করতে হবে এবং একই থাকবে ।
এখন থেকে ক্লাসে কোন রোল এক, দুই , তিন থাকবে না।
এটা হবে বিশাল বড় একটা রোল নম্বর যেটা মোবাইল নম্বরের মতো।
⛔এই কাজ টি করার জন্য চার পৃষ্ঠার একটা ফরম পূরণ করে অতি দ্রুত স্কুলে জমা দিতে হবে।
প্রত্যকে প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গেছে। তাই, প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র রেডি করে যত দ্রুত সম্ভব তথ্য ফরম নির্ভূলভাবে যাচাই করে জমা দিন।
⛔এখানে সমস্যা হতে পারে শুধু জন্মনিবন্ধন নিয়ে।
কারণ, যাদের হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ আছে বা ডিজিটাল (অনলাইন ভেরিফাইড) করা নেই। সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। অবশ্যই ডিজিটাল জন্ম সনদ লাগবে অর্থাৎ, অনলাইনে সার্চ দিলে পাওয়া যায় এমন জন্মনিবন্ধন (কম্পিউটার টাইপিং) করা থাকতে হবে।যাদের জন্মনিবন্ধন অনলাইন করা নাই। তারা শীঘ্রই করে নিবেন । লক্ষণীয় যে, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিটের হয়, অনেকের জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিটের ঠিকই, কিন্তু অনলাইনে নেই, এমনটি হলে হবে না।
আর একটা কথা রাখতে হবে, ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে।
⛔প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রঃ
শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি প্রদানের জন্য প্রোফাইল ও ডাটাবেজ করতে নিম্নের ডকুমেন্ট দ্রুতসময়ে সংগ্রহে রাখতে হবে।অবহেলা করলে সমস্যা হবে।
১.দুই কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড দুই চোখ,দুই,কান দেখা যায় এমন স্পষ্ট ছবি।
২.শিক্ষার্থীর অনলাইন জন্ম সনদ (হাতে লেখা হবে না)অনলাইন লাগবে।
৩.পিতা-মাতার এন আইডি কার্ড অথবা জন্ম সনদ এর ফটোকপি। অপর পৃষ্ঠায় স্ব স্ব মোবাইল নম্বর লিখতে হবে।
৪.শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে রিপোর্টে এর ফটোকপি (যদি থাকে)।
৫.পিতা মাতা মৃত হলে অভিভাবকের NID লাগবে। অপর পৃষ্ঠায় নাম মোবাইল নম্বর লিখে দিবেন।
⛔রক্তের গ্রুপ প্রমাণের জন্য মেডিকেল বা প্যাথলজি সার্টিফিকেট লাগবে (যদি না থেকে তবে প্রয়োজন নেই), তবে ফরমে উল্লেখিত সকল তথ্য প্রদান করাই উত্তম।
♦ অনলাইনকৃত যাবতীয় তথ্যাবলী (যেমনঃ NID, জন্ম নিবন্ধন) ইত্যাদি ভেরিফাইড মানে যাচাই করে তথ্য আপলোড করা হবে। অতএব, এখানে ভূয়া কোন কাগজপত্রাদি প্রদর্শন করা যাবে না।