...
ই-নলেজ অতিক্রম করলো লক্ষাধিক সদস্যের এক বিশাল মাইলফলক!বিস্তারিত...

কিভাবে সাইট থেকে আয় করবো?

"ইন্টারনেট" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন (নবীন) (41 পয়েন্ট)  
পূনঃরায় খোলা করেছেন
300 বার প্রদর্শিত

লিংক কপি হয়েছে!



2 উত্তর

2 পছন্দ 0 অপছন্দ
ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে হলে আপনার ৩ টি জিনিস থাকতে হবে:

১. পসিটিভ মানসিকতা

২. নিয়মিত কাজ করার মানসিকতা

৩. ইংলিশ রাইটিং এ কিছুটা পারদর্শিতা

 

তবে আপনি চাইলে বাংলা ভাষাতেও ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারবেন, তবে সেক্ষেত্রে ইনকামের পরিমান কিছুটা কম হওয়াটাই স্বাভাবিক।

 

এখন একটু এই ৩ টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

 

প্রথমত কোনো ভালো কিছু করতে হলে আপনার পসিটিভ মানসিকতা তৈরী করতে হবে।

 

আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলে-মেয়েরা ছোটবেলা থেকেই অনেকটা নেগেটিভ কথা শুনে বড় হয় আর তারা তাদের নেগেটিভ মানসিকতা আজীবন বয়ে নিয়ে বেড়ায়।

 

কিন্তু আপনি যদি কোনো বিষয়ে পসিটিভ মনোভাব পোষণ করতে পারেন, তবে আপনি পসিটিভ রেজাল্ট পাওয়া শুরু করতে পারবেন।

 

আমি যখন অনলাইনে কাজ করা শুরু করি, তখন আমি অনেক পসিটিভ ছিলাম যদিও তখন অনেক প্রতারণামূলক ক্লিক ব্যবসা আমাদের দেশে চলছিল।

 

আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতাম যে অনলাইনে বৈধ কাজ অবশ্যই আছে যা থেকে মানুষ সত্যি সত্যিই আয় করছে।

 

অনেককেই দেখেছি যারা আমার সাথে অনলাইনে কাজ শুরু করেছিল তারা অনলাইন সম্পর্কে অনেকটাই নেগেটিভ মানসিকতা পোষণ করতো।

 

এদের মেজরিটিই কয়েক মাসের মধ্যে কাজ ছেড়ে দিয়েছিলো।

 

কিন্তু আমি অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে সফলভাবে অনলাইনে কাজ করে আয় করা শুরু করতে পেরেছিলাম।

 

আর পসিটিভ মানসিকতা গ্রো করতে পারলে আপনি নিয়মিত কাজও করতে পারবেন।

 

নিয়মিত সঠিক উপায়ে কাজ করলে আপনি সফল হবেনই সে যে কাজই হোক।

 

আর ইংলিশকে ভয় পেলে বাংলায় এখনই অনেক অপরচুনিটি আছে ও প্রতিনিয়ত তা বেড়েই চলেছে।

 

সতর্কতা!

দেখেন আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে অনেক আয় করতে পারবেন যদি আপনি ছেড়ে না দেন, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই খুব দ্রুত হাল ছেড়ে দেয়।

 

তো আপনি আপনার ওয়েবসাইট শুরুর প্রথম দিন থেকেই এই বলে প্রতিজ্ঞা করুন যে আপনি কখনোই তা ছেড়ে দেবেন না।

 

এটা যদি করতে পারেন, তবে আমি কথা দিচ্ছি যে আপনি আপনার সাইট থেকে ভালো অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।

 

ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় [স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি দেখুন]

এইবার আমি একটি ওয়েবসাইট থেকে লক্ষাধিক টাকা আয়ের পদ্ধতি দেখাতে থাকবো।

 

আপনার এই টেকনিকগুলো নিয়মিত ফলো করতে হবে, তাই এখনই এই ওয়েবপেইজটি বুকমার্ক করে রাখুন যাতে করে নিয়মিত পদ্ধতিগুলো ফলো করতে পারেন।

 

একটি সাইট থেকে আয় করতে আপনাকে ৪ টি স্টেপ পার করতে হবে।

 

স্টেপ ১. আপনার নিশ (NICHE) সিলেক্ট করে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করুন

যেহেতু আমি আপনাকে একটি ওয়েবসাইট থেকে আয় করার ফর্মুলা দেখাচ্ছি, তাই সবার প্রথম আপনাকে আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট খুলতে হবে।

 

একটি ওয়েবসাইট চালু করতে খুব বেশি খরচ হয় না তারপরেও আমাদের দেশের বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েরা কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে রাজি না।

 

কিন্তু আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটটিকে একটি ব্যবসার জন্য জমির সাথে তুলনা করতে হবে।

 

একখণ্ড জমি ছাড়া যেমন আপনি আপনার ব্যবসার কোনো স্থাপনা সৃষ্টি করতে পারবেন না, তেমনি একটি ওয়েবসাইট ছাড়া আপনি আপনার ব্যবসাই শুরু করতে পারবেন না।

 

[এখন এখানে ক্লিক করে নিজেই নিজের ওয়েবসাইট তৈরির পদ্ধতি শিখুন]

 

উক্ত গাইডে আমি একটি ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয় তার সকল দিক নির্দেশনা দিয়েছি।

 

আর নিশ সম্পর্কে কিছু কথা বলে রাখি। নিশ হচ্ছে আপনার সাইটের বিষয়বস্তু, তাই আপনি যে বিষয়ের ওপর আপনার সাইটটিতে আলোচনা করবেন, সেটিই হবে আপনার নিশ।

 

স্টেপ ২. আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট তৈরী করতে থাকুন

আপনার সাইটটি রেডি হয়ে গেলে এখন আপনাকে আপনার সাইটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ শুরু করতে হবে আর তা হলো কন্টেন্ট তৈরী করা।

 

হ্যা, বলা হয়ে থাকে কন্টেন্ট ইস কিং।

 

তো আপনাকে আপনার সাইটের জন্য সুন্দর সুন্দর কন্টেন্ট তৈরী করতে হবে।

 

একই সাথে আপনার কন্টেন্টগুলো কিন্তু এস ই ও কন্টেন্ট হতে হবে যাতে করে তা সার্চ এঞ্জিনে প্রথম পেইজে জায়গা করে নিতে পারে।

 

কিভাবে কন্টেন্ট তৈরী করবেন তার পূর্ণাঙ্গ গাইড আমি এই লিংকে দেখিয়েছি।

 

উক্ত লিংক থেকে এস ই ও কন্টেন্ট তৈরির কৌশল রপ্ত করে নিন।

 

স্টেপ ৩. আপনার সাইটে বেশি বেশি ভিজিটর আনতে থাকুন

আপনার সাইটের জন্য শুধুমাত্র কন্টেন্ট তৈরী করলেই হবে না, আপনাকে বেশি বেশি ট্রাফিক আপনার সাইটে নিয়ে আসতে হবে।

 

ট্রাফিক হলো আপনার সাইটের ভিজিটর।

 

বিভিন্নভাবে আপনার সাইটে ট্রাফিক আনা যায় যা আমি এই গাইডে দেখিয়েছি।

 

স্টেপ ৪. আপনার ওয়েবসাইট মনেটাইজ করুন

আপনার সাইটে কিছু সংখ্যক কন্টেন্ট হয়ে গেলে ও নিয়মিতভাবে ভিজিটর আসতে থাকলে আপনি আপনার সাইট থেকে বিভিন্নভাবে আয়ের মাধ্যমগুলো এপলাই করতে থাকুন।

 

এখন আমি আপনাদের দেখাবো একটি ওয়েবসাইট থেকে আয়ের ২০ টি উপায় যার মাধ্যমে আপনি আপনার সাইট থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন।

 

একটি ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়!

২০ টি নিখুঁত পদ্ধতি সম্পর্কে এক্ষুনি জানুন:

১. এফিলিয়েট মার্কেটিং (ডিজিটাল এন্ড ফিজিক্যাল প্রোডাক্টস)

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি খুব ভালোভাবে আপনার সাইটকে মানিটাইজ করতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট একটি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশনের ভিত্তিতে বিক্রি করা।

 

আপনি জেনে খুশি হবেন যে আজকাল অধিকাংশ কোম্পানিই তাদের প্রোডাক্টের জন্য এফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু রাখে।

 

আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক আপনার সাইটে ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ভালো আয় করতে পারেন।

 

প্রথমেই আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়ের দিকে নজর দেয়া উচিৎ। এজন্য বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস এ সাইন আপ করুন।

 

বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস এ সম্পূর্ণ ফ্রি সাইন আপ করে কাজ শুরু করা যায়।

 

২. এডসেন্স

এডসেন্স এর নাম শুনেননি এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম হওয়ার কথা।

 

এডসেন্স হলো গুগল এর পে পার ক্লিক এড নেটওয়ার্ক যেখান থেকে আপনি নিয়মিত আয় করতে পারবেন।

 

এডসেন্স এর মতো আরও অনেক পে পার ক্লিক এড কোম্পানি যেমন ইনফোলিংকস, মিডিয়া ডট নেট আছে যাদের মাদ্ধমেও আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারেন।

 

৩. স্পন্সরড পোস্ট

স্পন্সরড পোস্ট হলো আপনার সাইটে অন্য কোনো কোম্পানির পোস্ট পাবলিশ করা। এর বিনিময়ে ওই কোম্পানিটি আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দেবে।

 

আমি নিয়মিত স্পন্সরড পোস্ট পাবলিশ করার জন্য রিকোয়েস্ট পাই এবং এর জন্য আমি ২৫ থেকে শুরু করে ১০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করি।

 

আপনার সাইটটি একটু গ্রো করলে নিয়মিত স্পন্সরড পোস্টের জন্য আপনার কাছে রিকোয়েস্ট আসতে থাকবে যা থেকে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন।

 

আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের পরিমান বেশ ভালো হলে অনেক কোম্পানিই তাদের সম্পর্কে আপনাকে লিখতে বলতে ও তা আপনার ওয়েবসাইটেই পাবলিশ করতে রিকোয়েস্ট করতে পারে।

 

বিনিময়ে তারা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা প্রদান করবে। এ ধরণের পোস্টকে স্পন্সরড পোস্ট বলে।

 

স্পন্সরড পোস্ট লিখে ভালো আয় করা যায়।

 

৪. ডোনেশন

আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ডোনেশন নেয়ার ব্যবস্থাও করতে পারেন। এ ধরণের ডোনেশন ভিত্তিক ওয়েবসাইট করে অনেক দাতাসংস্থা তাদের ফান্ড ক্রিয়েট করে।

 

একটি সাইট থেকে ডোনেশনের মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব।

 

ডোনেশনের জন্য আপনি আপনার সাইটে একটি সেকশন রাখতে পারেন এবং আপনার অডিয়েন্সকে ডোনেশন দেওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট করতে পারেন।

 

দেখবেন অনেকেই ডোনেশন করছে।

 

আর যদি আপনি কোনো সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকেন, তবে ডোনেশন পাওয়া আরো সহজ হয়ে যাবে।

 

৫. সাবস্ক্রিপশন (কিছু এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট এর জন্য)

আপনার সাইটের কিছু অংশে প্রিমিয়াম কনটেন্ট রাখতে পারেন যা আপনার অডিয়েন্সদের কিনে নিতে হবে। এভাবে আপনি আপনার সাইট থেকে আয় বাড়াতে পারেন।

 

আপনার সাইটের কনটেন্ট যদি খুব এক্সক্লুসিভ হয় তবে তা আপনি প্রিমিয়াম করে দিতে পারেন।

 

তার মানে হলো আপনার ওয়েব ভিজিটররা একটি নির্দিষ্ট মাসিক সাবস্ক্রিপশন এর মাদ্ধমে আপনার সাইটের কন্টেন্টগুলি পড়তে পারবে।

 

৬. এড স্পেস বিক্রি

আপনার সাইটে ভিজিটর সংখ্যা ভালো পরিমানের হলে অনেক কোম্পানি তাদের এড আপনার সাইটে দিতে চাইবে যার বিনিময়ে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা চার্জ করতে পারেন।

 

আপনার সাইটের ওপরের হেডার বা সাইডে বিভিন্ন এড প্রদর্শনের জন্য জায়গা রাখার ব্যবস্থা আছে।

 

আপনার ওয়েবসাইটে যদি বেশকিছু ভিজিটর হয়ে যায়, তখন আপনার ওয়েবসাইটটি কে কিন্তু একটি নিউসপেপার বা টেলিভশন চ্যানেল এর সাথে তুলনা করা যায়।

 

এসব থেকে কিভাবে আয় হয়? বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের বিজ্ঞাপন এই সমস্ত চ্যানেল এ দেয় যাতে করে অনেক মানুষ তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারে।

 

আপনার সাইটে যেহেতু উল্লেখযোগ্যসংখক লোক ভিজিট করছে, তাই সেখানেও অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে আগ্রহী হতে পারে।

 

আর বিজ্ঞাপন দিলেই তো আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কিছু জায়গা তাদের কাছে বিক্রি করে আয় করতে পারেন।

 

৭. ফ্রিল্যান্সিং

আপনার যদি কোনো ফ্রিল্যান্সিং স্কিল থেকে থাকে তবে তা কোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে না যেয়ে আপনার সাইটে প্রদর্শন করেই কাজ শুরু করতে পারেন।

 

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য চেনে শুধুমাত্র আপওয়ার্ক, ফ্রীলান্সার, এনভাটো মার্কেটপ্লেস ইত্যাদিকে।

 

কিন্তু তারা যে তাদের নিজেদের ওয়েবসাইট থেকেই দেশ-বিদেশের ফ্রিল্যান্সিং কাজ পেতে পারে তা জানে না।

 

আমিও আগে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ থেকে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং জবে বিড করে কাজ পেতাম যেটা ছিল অনেক ঝামেলার।

 

এখন আমি আমার ইমেইলে প্রবেশ করলেই বিভিন্ন ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে একাধিক রিকোয়েস্ট পাই!

 

এটা কিভাবে পাই জানেন?

 

হ্যা, আমার অনেক কয়টি সাইট আছে এবং আমি SEO এবং অনন্য অনেক উপায়ে বিভিন্ন দেশের লোকজন কে আমার সাইটসমূহে নিয়ে আসি। অনেকেই তাদের নিজেদের কাজের জন্য আমাকে হায়ার করার জন্য আগ্রহী হয়।

 

এখন আমার খুবই ভালো লাগে এই ভেবে যে আগে আমি ক্লায়েন্টদের পিছনে ছুটতাম আর এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর বদৌলতে ক্লায়েন্টরা আমার পিছনে ছুটে (এটা কিন্তু কোনো অহংকার থেকে বলছি না, আনন্দ থেকে বলছি!)।

 

৮. ফ্রিল্যান্সিং মিডলম্যান

আপনি নিজে কাজটি না পারলে মিডলম্যান হিসেবে অন্য স্কীলড ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে আপনার ক্লায়েন্টদের কাজটি করে দিতে পারেন। এর বিনিময়ে আপনি একটি মধ্যভোগী হিসেবে ভালো আয় করতে পারবেন।

 

এজন্য আপনাকে শুধু জানতে হবে যে কিভাবে ক্লায়েন্টকে কনভিন্স করে কাজ পেতে হয়।

 

২০১৬ সালে আমি এমনভাবে কাজ করে অনেক আয় করেছিলাম।

 

৯. ফ্রিল্যান্সিং এজেন্সী

আর আপনার যদি একটি টিম থেকে থাকে তবে তাদেরকে নিয়ে একটি ফ্রিল্যান্সিং এজেন্সী গঠনের মাধ্যমেও আপনার সাইট থেকে আয় বাড়ানো সম্ভব।

 

১০. কনসাল্টিং

আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে কনসালট্যান্সি ও আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা সম্ভব!

 

আপনার সাইটের একটি অংশে আপনার কনসালট্যান্সির একটি পেইজ রাখুন যেখান থেকে আপনার ক্লায়েন্টরা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে।

 

একইভাবে আপনি কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞ হলে তা কনসাল্টিং করুন অনলাইনেই।

 

আপনি ব্যবসায়িক পরামর্শক হলে ওয়েবসাইটের মাদ্ধমে একটি ফিস এর বিনিময়ে আপনার ক্লায়েন্টকে আপনার মূল্যবান পরামর্শ দিন। এতে সুবিধা হবে যে আপনি ও আপনার ক্লায়েন্ট কাউকেই তাদের স্থান পরিবর্তন করতে হবে না।

 

১১. কোচিং

কোর্স বিক্রির মতো ডিজিটাল কোচিং ও হতে পারে আপনার ওয়েবসাইট থেকে আয়ের এক অনন্য উপায়।

 

আপনি কোনো বিষয়ের ওপর এক্সপার্ট হলে তা অন্যদেরকেও শেখাতে পারেন ভিডিও বা ভয়েস কলিং এর মাদ্ধমে। স্কাইপে, ফেইসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার ইত্যাদি আপনাকে ভিডিও কলিং এর ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে।

 

কিন্তু মূল কথা হলো আপনার শিক্ষার্থীদের সাথে কানেকটিং এর জন্য ওয়েবসাইট ছাড়া উপায় নেই।

 

১২. ড্রপশিপিং

ড্রপশিপিং এখন একটি খুবই জনপ্রিয় ব্যবসা এবং আপনিও এই কনসেপ্টটি ছোট পরিসরে আপনার সাইটে ব্যবহার করতে পারেন।

 

তো ড্রপশিপিং জিনিসটি কি?

 

আপনি যদি কোনো প্রোডাক্ট অগ্রিম না কিনে রেখেই ব্যবসা করতে চান তবে, তা ড্রপশিপিং এর পর্যায়ে পড়বে।

 

ধরেন আপনি একটি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চান যেটি সবজায়গাতে পাওয়া যায় না, কিন্তু এর ব্যাপক চাহিদা আছে।

 

এক্ষেত্রে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রোডাক্টটি কিনতে হলে আপনার সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখতে পারেন।

 

আপনি শুধু বায়ার ও সেলারের মধ্যে একটা কানেকশন করে দেবেন।

 

১৩. কোর্স বিক্রি

আপনি যদি কোনো বিষয়ের ওপর দক্ষ হন, তবে তার ওপর একটি কোর্স তৈরী করে তা আপনার ওয়েবসাইটের মাদ্ধমে বিক্রি করতে পারেন।

 

অনলাইনে শুধু কোর্স বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আয় করা লোকের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়।

 

১৪. নিজের তৈরী ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বিক্রি

প্রত্যেকটি মানুষই কিছু না কিছু তৈরী করতে পারে।

 

এই ধরেন আপনি হয়তো খুব ভালো কেক বানাতে পারেন! যদি তাই হয় তবে আপনি আপনার একটি অর্ডার পেইজ আপনার সাইটে রাখতে পারেন।

 

দেখবেন যে এই পেইজ থেকে অনেকেই তাদের কেক বানিয়ে দেওয়ার জন্য অর্ডার করছে।

 

১৫. ফ্যান প্রোডাক্টস বিক্রি

আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত অনেকে ভিজিটর আসতে থাকলে তার মধ্যে অনেকেই আপনার ফ্যান হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। এই ফ্যান আপনার কিছু জিনিস তাদের কাছে রাখতে চাইবেই চাইবে।

 

তো কিছু ফ্যান প্রোডাক্ট এই যেমন টি-শার্ট, মগ, ক্যাপ ইত্যাদি বানিয়ে রাখুন যেখানে আপনার বা আপনার ওয়েবসাইটের প্রিন্ট থাকবে এবং আপনার অনেক ফ্যানই আপনার ওই প্রোডাক্টগুলো নিতে চাইবে।

 

আপনার ফ্যান প্রোডাক্টের একটি মূল্য নির্ধারণ করে তা আপনার ফ্যানদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।

 

১৬. নিজস্ব ডিজিটাল প্রোডাক্ট (ইবুক, APPS, সফটওয়্যার ইত্যাদি) বিক্রি

বই বিক্রি করে ভালো আয় করা যায় তাই না?

 

তবে এখন লেখক হতে ও বই বিক্রি করে আয় করতে গেলে কিন্তু আপনার পাবলিশারদের পিছু হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় না।

 

আপনি ডিজিটালভাবে যেকোনো বিষয়ের ওপর একটি বই লিখতে পারেন যাকে ইবুক বলে।

 

এরপর আপনার ওয়েব ভিজিটরদের কাছে আপনি নির্দ্বিধায় আপনার ইবুক বিক্রি করে তা থেকে আয় করতে পারেন।

 

তার মানে হলো আপনি চাইলেই আপনার ওয়েবসাইটের একটি পেজ কে ডিজিটাল লাইব্রেরিতে রূপান্তর করতে পারেন।

 

১৭. হোস্টিং রিসেলিং

অনেকেই চায় নিজের একটি ওয়েবসাইট খুলতে এবং আপনি চাইলে রিসেলার হোস্টিং কিনে তা টুকরো টুকরো করে বিক্রি করতে পারেন।

 

১৮. ওয়েবিনারের আয়োজন

আরে এটা আবার কি?

 

বেশ সেমিনারের কথা তো শুনেছেন, তাই না?

 

হ্যা, অফলাইনে সেমিনার যা, অনলাইনে ওয়েবিনার ও ঠিক একই জিনিস।

 

আপনি কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবিনারের আয়োজন করে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছ থেকে একটা সাবস্ক্রিপশন
উত্তর প্রদান করেছেন (নবীন) (41 পয়েন্ট)  
উত্তরে লিংক যোগ করুন । অন্য জায়গা থেকে আপনি লেখাগুলো কপি করে এনেছেন, উত্তর দেওয়ার আগে আপনার একবার দেখে নেওয়া উচিত ছিল । ধন্যবাদ ।
মন্তব্য করা হয়েছে করেছেন (অতিথি) (14 পয়েন্ট)  
0 পছন্দ 0 অপছন্দ

যারা দুই তিন বছর কষ্ট করে তাদের ওয়েব সাইট কে র‌্যাঙ্ক করায় ট্রাফিক আনে আপনি যদি এক দিনেই আপনার ওয়েবসাইট খুলে সেই পরিমানে ট্রাফিক আনতে চান তাহলে কিন্তু সেটা আপনার দ্বারা সম্ভব নাও হতে পারে। এর জন্য আপনাকে প্রচুর শ্রম দিতে হবে আপনার ওয়েব সাইটের পিছনে। সাধারণত একটি ওয়েবসাইটকে দার করানোর জন্য অনেক কিছুই করতে হয়। যেমনঃ

  • ঠিক ভাবে এস.ই.ও করা
  • নিয়মিত এবং ভালোভালো কন্টেন্ট আপলোড
  • ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা
  • ওয়েবসাইটের মান বৃদ্ধি করা। ইত্যাদী

 আমরা আস্তে আস্তে সেগুলোও আলোচনা করাব।

একটি সাইট কে ডেভেলপ করার জন্য আপনাকে এই সব কিছু করাতে হবে। তারপরে আপনার ধৈর্য্য লাগবে অনেক। কারন একটি সাইট একদিনেই এতো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে না। তাকে আস্তে আস্তে ডেভেলপ করতে হয়। আর এই কারনেই অনেক বেশি সময় দিতে হয় ওয়েব সাইটের পেছনে। 

এবার আসুন কিভাবে এই সকল ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম করা যায়?

এই সকল ওয়েব সাইটে কয়েকভাবে ইনকাম করা যায়। প্রথমত, যেই প্রক্রিয়াটি সবচেয়ে জনপ্রিয় সেইটা হলো আ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে। এডসেন্স গুগলের একটি আ্যাডনেট ওয়ার্ক। আর তার জন্য পেইমেন্ট এর সময় কোন ধরনের সমস্যায়ও পড়তে হয় না। প্রায় সব সাইটেই এই ভাবেই ইনকাম করে থাকে। আর সম্প্রতি গুগল বাংলা সাইটেও আ্যাডসেন্স দিচ্ছে।

ডোনেশনের মাধ্যমেও ব্লগ এবং অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা যায়। অনেক ওয়েবসাইট আছে যেই সকল ওয়েব সাইট কোন আ্যাডস্ নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত থাকে না। ফলে কোন আর্টিকেলের মাঝে আচমকা কোন আ্যাড এসে বিরক্ত করে না। এবং তারা সম্পূর্ণ ব্যাক্তি উদ্দ্যেগে এই ওয়েবসাইগুলো ডেভেলপ করে থাকে। ফলে তাদের আ্যাডসেন্স থেকে আয়ের কোন পথ থাকে না। এবং এই সাইটগুলো তখন ডোনেশন চাই।

আপনার ওয়েবসাইট যদি এই জাতীয় হয় তাহলে আপনি ডোনেশন থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে।

রেসপন্সার হলো কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের থেকে পাওয়া স্পন্সার পাওয়া যার মাধ্যমে সেই ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আপনি অর্থ পাবেন। যদি আপনার ওয়েব সাইটে ভালোমানের ট্রাফিক থাকে তাহলে আপনিও চাইলে এমন কোন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে স্পন্সার নিতে পারেন এবং প্রোডাক্ট রিভিউ করতে পারেন।

সম্পূর্ণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন।image
উত্তর প্রদান করেছেন (গুণী) (122 পয়েন্ট)  

সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি উত্তর
0 টি উত্তর
"জাভা ফোন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল  
1 উত্তর
"তথ্য-প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন লামিম রহমান (নবীন) (36 পয়েন্ট)  

18,584 টি প্রশ্ন

19,471 টি উত্তর

2,568 টি মন্তব্য

102,923 জন সদস্য

ই-নলেজ কুয়েরি বাংলা ভাষায় সমস্যা সমাধানের একটি নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট। এখানে আপনি প্রশ্ন-উত্তর করার মাধ্যমে নিজের সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি দিতে পারেন অন্যদের সমস্যার নির্ভরযোগ্য সমাধান! বিভিন্ন ব্যক্তিগত সমস্যা, পড়ালেখা, ধর্মীয় ব্যাখ্যা, বিজ্ঞান বিষয়ক, সাধারণ জ্ঞান, ইন্টারনেট, দৈনন্দিন নানান সমস্যা সহ সকল বিষয়ে প্রশ্ন-উত্তর করতে পারবেন! প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে বাংলা ভাষায় উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য!
তাই আজই যুক্ত হোন ই-নলেজে আর বাড়িয়ে দিন আপনার জ্ঞানের গভীরতা...!
Empowering Novel Learners with Zeal (Enolez)


  1. Noni

    6 পয়েন্ট

    1 উত্তর

    0 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

  2. indepthbd

    5 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

  3. Enolej Official Team

    4 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

  4. ইফতেখার নাইম

    1 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

...